দিরাইয়ে নাছির চৌধুরীর সম্মানে জনসভা উপজেলা বিএনপি’র পদধারী নেতারা অনুপস্থিত, মিশ্র প্রতিক্রিয়া
- আপলোড সময় : ২৬-১১-২০২৫ ১১:২৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-১১-২০২৫ ১১:২৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
দিরাই প্রতিনিধি ::
দিরাই উপজেলা বিএনপিও সহযোগী সংগঠনের ডাকা মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর)-এর জনসভায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির শীর্ষ পদধারী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত না থাকায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাক্সক্ষীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দিরাই-শাল্লার সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নাছির উদ্দীন চৌধুরী দীর্ঘদিন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে সোমবার দেশে আসলে তার সম্মানে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই পৌরশহরের থানা রোডে জনসভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ স¤পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ স¤পাদক ফারুক সরদার এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহ আলমের যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দীন চৌধুরী। সভায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাছির উদ্দীন চৌধুরীর ছোট ভাই মঈন উদ্দিন চৌধুরী মাসুক, পৌর বিএনপির আহবায়ক মিজানুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট ইকবাল হোসেন চৌধুরী সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির শীর্ষ পদধারী অধিকাংশ নেতা অনুপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা হতাশার সুরে বলেন, দীর্ঘদিন আমরা জননেতা নাছির উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করেছি, নাছির চৌধুরীর অসুস্থতার সুযোগে বিএনপি আজ চার ভাগে বিভক্ত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের বিভেদ দিন দিন আরও বেড়ে চলছে। আজকের নাছির চৌধুরীর জনসভায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির পদধারী নেতৃবৃন্দের অনুপস্থিতি প্রমাণ করে আমাদের দলের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে দলের বিভক্তি চলতে থাকলে আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ভরাডুবির আশঙ্কাই বেশি। কিছু সুবিধাবাদীরা নাছির উদ্দীন চৌধুরীর অসুস্থতাকে পুঁজি করে নিজ স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত হয়ে দলের সর্বনাশ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বিএনপির একাধিক শীর্ষ পদধারী নেতা বলেন, আমরা উপজেলা ও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে ও বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত জনসভা স¤পর্কে কিছুই জানিনা। আমাদের কেউ দাওয়াত ও দেয়নি। নাছির চৌধুরী আমাদের সবার নেতা, তিনি গ্রুপিং-লবিংয়ের ঊর্ধ্বে। কিছু সুবিধাবাদীরা যারা আজীবন নাছির চৌধুরীর বিরোধিতা করেছেন, নাছির চৌধুরীর উন্নয়নে বাঁধা দিয়েছেন তারা আজ নাছির উদ্দীন চৌধুরীর বন্ধু সেজেছেন। নাছির চৌধুরীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা। অসুস্থ নেতাকে নিয়ে তারা ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছেন, নিজ স্বার্থে নেতাকে ব্যবহার করছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ দলটি বিভক্তির পথে ঠেলে দিচ্ছেন। যদি দলে এ অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের ভরাডুবির আশঙ্কাই বেশি। আমরা আশাবাদী জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলের ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিভেদ নিরসনে ব্যবস্থা নিবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাছির চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘদিন দিরাই-শাল্লায় রাজনীতি করেছি, দিরাই-শাল্লাবাসী আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি বানিয়েছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমি শেষবারের মতো ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমি বিএনপির হাইকমান্ডকে আমার নির্বাচন করার কথা জানিয়ে দিয়েছি। আমি আশাবাদী দল আমার কাজের মূল্যায়ন করবেন। আজকের জনসভা প্রমাণ করে আপনারা আমাকে কতটুকু ভালোবাসেন। আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ বিজয় লাভ করবো। আমি আপনাদের দোয়া প্রত্যাশী। সভায় শাল্লা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আওয়াল, দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

দিরাই প্রতিনিধি